লামায় রেকর্ডীয় ভূমি জবর দখলকারীদের উদ্ভূত সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ১০:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩ ১৯ বার পড়া হয়েছে
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে একটি চক্র রাবার লীজ ভূমিসহ ব্যক্তি মালিকানা জমি খাস দাবি করে জোর দখলের অপচেষ্টায় নতুন কৌশুল বেছে নেয়। এই ভূমি দস্যু চক্রটি হেডম্যান রিপোর্ট নিয়ে স্থানীয়দের ৪০/৫০ বছরের ভোগদখলী হোল্ডিংভূক্ত জমিতে বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে সেখানে কলাগাছ রোপন করে দখলে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ভূমির মালিকরা জবর দখল ঠেকাতে পদক্ষেপ নিলে, জবরদখলকারীরা সংবাদ সম্মেলন করে উল্টো ভূমির প্রকৃত মালিকদের চরিত্র হনন করতে থাকে। জানাযায়, ফাঁসিয়াখালীর বাসিন্দা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক (মেম্বারের) নামীয় আর হোল্ডিং রেকর্ডভুক্ত ৫ একর ও রাবার লীজ হোল্ডিংয়ের ২৫ একরসহ মোট ৩০ একর পাহাড়ে রাবার, বেলজিয়ামসহ নানা প্রজাতির বৃক্ষ সৃজন করেন। জায়গাটি উপজেলার বনপুর এলাকায় অবস্থিত। জানাযায়, সাম্প্রতিক সময়ে বনপুর, ত্রিশডেবাসহ আশপাশের কিছু উপজাতি ক্যসিং ম্রো ও হরিচন্দ্র ত্রিপুরার নেতৃত্বে মরহুম রাজ্জাক মেম্বারের ছেলেদের সৃজিত বাগান, ভূমি জবর দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কাগজপত্রে দেখা যায়, ২৮৫ নং সাঙ্গু মৌজায় লীজ মামলা নং ৬৫/৮৮-৮৯, হো: নং রাবার ৮ মূলে তয় শ্রেনির ২৫ একর রাবার বাগান চাষ প্রকল্পের আওতায় রাজ্জাক মেম্বার বিগত ১৯৮৯-৯০ সালে লীজ প্রাপ্ত হন। একই মৌজায় তিনি ১৯৮৪-৮৫ সনের বন্দোবস্তি মোকাদ্দমা নং ১৯৮৪-৮৫, ৪৯৯ মূলে আর/৪৯০ নং হোল্ডিংয়ে আরো ৫ একর ৩য় শ্রেনির জমির মালিকানা লাভ করেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আবদু রাজ্জাক মেম্বার তখন থেকে সেখানে রাবারসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ সৃজন করে ভোগ দখলরত আছেন। মরহুম রাজ্জাক মেম্বারের ছেলে গিয়াসউদ্দিন জানায়, “সম্প্রতি উল্লিখত উপজাতিরা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ওই ৩০ একর পাহাড়ের অংশে কলাগাছ রোপন করে দিয়ে পাহাড়টি তাদের দাবি করে নানান ইস্যু তৈরি করছে। ১৩ জুন তারা লামা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। একইদিন মনগড়া বে-আইনি দাবি দফা উল্লেখ করে, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে মাননীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন চক্রটি স্মারকলিপিতে ও অদ্ভুত এক সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা তথ্য দেন যে, “ক্যচিং ম্রো ১১২নং হোল্ডিং মূলে ৩.০০ (তিন) একর ৩য় ও ২.০০ (দুই) একর ২য় শ্রেণী জমি আবাদ করে বসত ঘর ফলজ বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ দখলে আছেন। “এ তথ্য সম্পুর্ন মিথ্যা। সত্যটা হচ্ছে, ক্যাচিং ম্রো একটি অন্য জায়গার হোল্ডিংয়ের কাগজ নিয়ে আমাদের জায়গা দখল করতে চায়ছে। এ ব্যপারে আমরা কোর্টে মামলা করেছি, মামলা তদন্তাধীন। এছাড়া আমাদের রাবার লীজ ভূমির অংশে আনুমানিক ২ একর জায়গা প্রাকৃতিকভাবে ১ম শ্রেনির রুপ লাভ করে। জমির ওই অংশে চাইহ্লা মং মার্মা নামের ত্রিশডেবার এক বাসিন্দা কিছুদিন ভোগ করে। এক পর্যায়ে চাইহ্লামং মার্মা ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিগত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদারের উপস্থিতিতে ১নং ওয়ার্ড সদস্য মংমেগ্য মার্মা ও সাবেক সদস্য লাংকুম ম্রো’র মধ্যস্থতায় জমির দখল আমাদের অনুকুলে ছেড়ে দেয়। আমরা সরকার থেকে যথারীতি লীজ ও বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হয়ে সন সন খাজনা পরিশোধ করে ভূমিতে বহু অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করে দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করছি। অপরদিকে অলস ও উগ্র এই এইসব উপজাতিরা আমাদের নামীয় রেকর্ডভুক্ত ভূমি খাস দেখিয়ে ২০১৪ সালে হেডম্যান রিপোর্ট করিয়ে নেয়। তাদের দুর্বাসনা আমাদেরকে ভূমিচ্যুত করা। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত রেকডীয় ভূমিকে হেডম্যান কিভাবে কোন আইন ক্ষমতাবলে খাস বলে রিপোর্ট দেয়; সেটা আমাদের বোধগম্য নয়”। মরহুম আ: রাজ্জাক মেম্বারের ছেলে গিয়াস উদ্দীন আরো জানান, তারা হেডম্যানসহ এহেন বে-আইনি কাজে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবেন। অপরদিকে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এই বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আনা দরকার বলে মনে করেন স্থানীয়রা।