ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানছড়িতে হাসপাতাল সড়ক নির্মাণের আড়াই বছরেও কাজের বিল পাইনি ঠিকাদার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩ ১৭ বার পড়া হয়েছে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

পানছড়ি থেকে লোগাং সড়কে যাওয়ার পথে হাসপাতাল রোডের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ভাঙ্গা ও গর্ত থাকায় এবং এর ফলে দুর্ঘটনায় পড়ে এক পথচারি মারাত্মক ভাবে আঘাত পায়।পরবর্তীতে সেই রোগীকে খাগড়াছড়ি রেফার করা হয়।তারপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.অনুতোষ চাকমার অনুরোধে সড়কটি দ্রুত নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন উপজেলা প্রশাসন।পানছড়ি উপজেলার স্থানীয় ঠিকাদার উত্তম দে’কে নিজ অর্থে কাজটি করার জন্য বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ। সেই সময় ২০২১-২০২২ এ এমপি মহোদয় এর বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে এই টাকা সমণ্বয় করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।

আরসিসি ঢালায় এর মাধ্যমে সেই অর্ধ সম্পন্ন কাজ শেষ হওয়ার আড়াই বছরেও এখনো বিল পরিশোধ না করায় প্রশাসনের এমন উদাসীনতা ও অবহেলার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন ঠিকাদার উত্তম দে।

ঠিকাদার উত্তম দে জানান, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রায় চার মাস পূর্বে হাসপাতাল সড়কে মার্চ মাসে একজন পথচারী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয় এবং তাকে খাগড়াছড়ি রেফার করা হয়। তারপর পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.অনুতোষ চাকমা এই সড়কটি দ্রুত নির্মাণ এর জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ জানান।তারপর আমাকে কাজটি করার জন্য বলেন নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ মহোদয়।সেই সময় ডা. অনুতোষ চাকমা ও সাবেক ইঞ্জিনিয়ার অরুণ দাশ মহোদয়ও আমাকে অনুরোধ করেছিলেন।আমি এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনুরোধে হাসপাতালের সড়কটি নির্মাণ করি নিজ অর্থে । কিন্তু দুঃখের বিষয় কাজটি করার ৩ মাসের মাথায় আমার বিলটি দেওয়ার কথা ছিলো।সেই সময় বিল না পাওয়ায় আমি বাকি অর্ধেক কাজ আর করিনি।আজ আড়াই বছর হয়ে গেল আজও আমাকে আমার অর্ধসম্পন্ন কাজের ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার বিলটি পরিশোধ করলো না।অথচ বিভিন্ন স্থানে এমপি মহোদয় এর বরাদ্দকৃত অর্থ গুলো থেকে ভুয়া প্রকল্প করে বিভিন্ন এলাকায় অপ্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে।যা জনসাধারণের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল খালেক বলেন:এই কাজটির বিষয়ে আমি শুনেছি।কাজটি এমপি মহোদয় এর বরাদ্দকৃত অর্থে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও অর্ধেক পর্যন্ত করে বাকীটা আর হয়নি।এবং বিল না পাওয়ার বিষয়টি আমি জানিনা। এটা ইউএনও মহোদয় জানেন।

পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.অনুতোষ চাকমা জানান:জনসাধারণের কথা চিন্তা করে টেন্ডার ছাড়াই হাসপাতাল সড়কের কাজটি বিশিষ্ট ঠিকাদার উত্তম বাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং এমপি মহোদয় এর বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে এই টাকা সমণ্বয় করার কথা ছিলো।কাজটি অর্ধেক হয়ে আর বাকি অর্ধেকটা আর শেষ হয়নি।এর পরবর্তীতে আমি আর জানিনা।নতুন করে কাজটি বরাদ্দ হওয়ার কথা শুনেছি। কবে শুরু হবে এটা জানিনা।

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ এর অফিসিয়াল নম্বরে এই বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলে কল রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পানছড়িতে হাসপাতাল সড়ক নির্মাণের আড়াই বছরেও কাজের বিল পাইনি ঠিকাদার

আপডেট সময় : ০৮:৫১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

পানছড়ি থেকে লোগাং সড়কে যাওয়ার পথে হাসপাতাল রোডের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ভাঙ্গা ও গর্ত থাকায় এবং এর ফলে দুর্ঘটনায় পড়ে এক পথচারি মারাত্মক ভাবে আঘাত পায়।পরবর্তীতে সেই রোগীকে খাগড়াছড়ি রেফার করা হয়।তারপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.অনুতোষ চাকমার অনুরোধে সড়কটি দ্রুত নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন উপজেলা প্রশাসন।পানছড়ি উপজেলার স্থানীয় ঠিকাদার উত্তম দে’কে নিজ অর্থে কাজটি করার জন্য বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ। সেই সময় ২০২১-২০২২ এ এমপি মহোদয় এর বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে এই টাকা সমণ্বয় করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।

আরসিসি ঢালায় এর মাধ্যমে সেই অর্ধ সম্পন্ন কাজ শেষ হওয়ার আড়াই বছরেও এখনো বিল পরিশোধ না করায় প্রশাসনের এমন উদাসীনতা ও অবহেলার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন ঠিকাদার উত্তম দে।

ঠিকাদার উত্তম দে জানান, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রায় চার মাস পূর্বে হাসপাতাল সড়কে মার্চ মাসে একজন পথচারী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয় এবং তাকে খাগড়াছড়ি রেফার করা হয়। তারপর পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.অনুতোষ চাকমা এই সড়কটি দ্রুত নির্মাণ এর জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ জানান।তারপর আমাকে কাজটি করার জন্য বলেন নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ মহোদয়।সেই সময় ডা. অনুতোষ চাকমা ও সাবেক ইঞ্জিনিয়ার অরুণ দাশ মহোদয়ও আমাকে অনুরোধ করেছিলেন।আমি এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনুরোধে হাসপাতালের সড়কটি নির্মাণ করি নিজ অর্থে । কিন্তু দুঃখের বিষয় কাজটি করার ৩ মাসের মাথায় আমার বিলটি দেওয়ার কথা ছিলো।সেই সময় বিল না পাওয়ায় আমি বাকি অর্ধেক কাজ আর করিনি।আজ আড়াই বছর হয়ে গেল আজও আমাকে আমার অর্ধসম্পন্ন কাজের ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার বিলটি পরিশোধ করলো না।অথচ বিভিন্ন স্থানে এমপি মহোদয় এর বরাদ্দকৃত অর্থ গুলো থেকে ভুয়া প্রকল্প করে বিভিন্ন এলাকায় অপ্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে।যা জনসাধারণের জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল খালেক বলেন:এই কাজটির বিষয়ে আমি শুনেছি।কাজটি এমপি মহোদয় এর বরাদ্দকৃত অর্থে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও অর্ধেক পর্যন্ত করে বাকীটা আর হয়নি।এবং বিল না পাওয়ার বিষয়টি আমি জানিনা। এটা ইউএনও মহোদয় জানেন।

পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.অনুতোষ চাকমা জানান:জনসাধারণের কথা চিন্তা করে টেন্ডার ছাড়াই হাসপাতাল সড়কের কাজটি বিশিষ্ট ঠিকাদার উত্তম বাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং এমপি মহোদয় এর বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে এই টাকা সমণ্বয় করার কথা ছিলো।কাজটি অর্ধেক হয়ে আর বাকি অর্ধেকটা আর শেষ হয়নি।এর পরবর্তীতে আমি আর জানিনা।নতুন করে কাজটি বরাদ্দ হওয়ার কথা শুনেছি। কবে শুরু হবে এটা জানিনা।

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ এর অফিসিয়াল নম্বরে এই বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলে কল রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি।