ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিবির অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এলো মৌসুমী হত্যার রহস্য, গ্রেপ্তার – ২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ ১৩ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পরকিয়ার জেরে স্বামীর পরিকল্পনায় স্ত্রী হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গাড়ী উদ্ধার করে। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। গত সোমবার রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো গোলাকান্দাইল এলাকার মৃত সামসুল ইসলামের ছেলে আরজু মিয়া (৩৫) ও মৃত নায়েব আলীর ছেলে গাড়ি চালক রাকিব হোসেন। এর আগে এ মামলার আরেক আসামি গোলাকান্দাইলের নেওয়াজ আহমেদের ছেলে শরিফুল ইসলাম রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের পর গাড়ি চালক মো রাজিব হোসেনের সনাক্তে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সিলভার রঙের হায়েস গাড়ী উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানায়, নিহত গৃহবধু মৌসুমীর সাথে রাসেলের ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিবাহের পর তাদের এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। দাম্পত্য জীবনে রাসেলের বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক হয়। তার এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় রাসেল গত ১৯ এপ্রিল রাতে কৌশলে রূপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা শেষে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু  গাড়ি চালক মো. রাজিব হোসেন ও পূর্ব পরিচিত আরজুদের সহযোগীতায় একটি সিলভার রঙের হায়েস গাড়ীতে তুলে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের সিংলাবো এলাকায় মৌসুমীর লাশ ফেলে রাখে।
পরবর্তীতে ঘটনাটিকে ডাকাতির নাটক সাজানোর জন্য নিহত মৌসুমীর মৃতদেহ গাড়ি থেকে ফেলার আগে রাসেল ও তার সহযোগী আরজুকে দিয়ে আসামি শরিফুল ইসলাম রাসেল তার পিঠে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে গুরুতর জখম করে ডাকাতির নাটক সাজায়। জখম হওয়ার পর সে ভুলতা এলাকায় একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এ ঘটনাকে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ করে নিহত মৌসুমী আক্তারের ভাই মোঃ শাহ জালাল বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানার মামলা দায়ের করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ কান্তি দে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মৌসুমী আক্তার হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গত সোমবার রাতে গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যকান্ডে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ডিবির অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এলো মৌসুমী হত্যার রহস্য, গ্রেপ্তার – ২

আপডেট সময় : ১২:৪৮:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পরকিয়ার জেরে স্বামীর পরিকল্পনায় স্ত্রী হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ হত্যাকান্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গাড়ী উদ্ধার করে। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। গত সোমবার রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো গোলাকান্দাইল এলাকার মৃত সামসুল ইসলামের ছেলে আরজু মিয়া (৩৫) ও মৃত নায়েব আলীর ছেলে গাড়ি চালক রাকিব হোসেন। এর আগে এ মামলার আরেক আসামি গোলাকান্দাইলের নেওয়াজ আহমেদের ছেলে শরিফুল ইসলাম রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের পর গাড়ি চালক মো রাজিব হোসেনের সনাক্তে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সিলভার রঙের হায়েস গাড়ী উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানায়, নিহত গৃহবধু মৌসুমীর সাথে রাসেলের ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিবাহের পর তাদের এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। দাম্পত্য জীবনে রাসেলের বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক হয়। তার এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় রাসেল গত ১৯ এপ্রিল রাতে কৌশলে রূপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা শেষে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু  গাড়ি চালক মো. রাজিব হোসেন ও পূর্ব পরিচিত আরজুদের সহযোগীতায় একটি সিলভার রঙের হায়েস গাড়ীতে তুলে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের সিংলাবো এলাকায় মৌসুমীর লাশ ফেলে রাখে।
পরবর্তীতে ঘটনাটিকে ডাকাতির নাটক সাজানোর জন্য নিহত মৌসুমীর মৃতদেহ গাড়ি থেকে ফেলার আগে রাসেল ও তার সহযোগী আরজুকে দিয়ে আসামি শরিফুল ইসলাম রাসেল তার পিঠে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে গুরুতর জখম করে ডাকাতির নাটক সাজায়। জখম হওয়ার পর সে ভুলতা এলাকায় একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এ ঘটনাকে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ করে নিহত মৌসুমী আক্তারের ভাই মোঃ শাহ জালাল বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানার মামলা দায়ের করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ কান্তি দে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মৌসুমী আক্তার হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গত সোমবার রাতে গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যকান্ডে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে।