ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ভোটের মাঠে প্রার্থীরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩ ৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামী ২৫ মে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবার (৯ মে) প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন।

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, গণফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র থেকে মোট আটজন প্রার্থী মেয়র পদে লড়ছেন। তবে নির্বাচনের মূল লড়াই সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানের মধ্যে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতীক বরাদ্দের দিন সকালে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র প্রার্থী, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হন। প্রতীক পাওয়ার পরপরই তারা ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান প্রতীক বরাদ্দের পরপরই গাজীপুর সদর এলাকায় গণসংযোগ করেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন প্রতীক বরাদ্দের পরপরই স্বজনদের কবর জিয়ারত করে গণসংযোগে নামেন। অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান প্রতীক বরাদ্দের পরপরই মেট্রো থানা, বাসন থানা ও কোনাবাড়ী থানা এলাকায় গণসংযোগ করেন।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার কিছু সময় পর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান প্রতীক বরাদ্দ নেন। বেলা ১১টার দিকের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে আসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম তার মাকে সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বরাদ্দ নেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারাও আজ প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি, গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম মাছ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা,  স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহানুর ইসলাম রনি হাতি, রাজু আহম্মেদ গোলাপ ফুল ও হারুন অর রশিদ ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, গাজীপুর সিটির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বৃহৎ পরিকল্পনা মোতাবেক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ সিটি করপোরেশন গড়ে তুলতে নৌকা প্রতীকে ভোট চাই। প্রতীক পাওয়ার পরই আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। আমরা ইতোমধ্যে ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করেছি।

প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, আমি লড়াই করছি জনগণের জন্য। আমার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের জনগণ রয়েছে। আমি আমার এবং ভোটের নিরাপত্তা চাই, সুষ্ঠু ভোট চাই। আমি নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটা সুষ্ঠু ভোট চাই।

তিনি বলেন, এই শহরের বড় সমস্যা হলো রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা। আমি জয়লাভ করলে আগে এই রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করব। গাজীপুর সিটির উন্নয়নে সিটি করপোরেশনের ভোটারদের কাছে আমি ঘড়ি মার্কায় ভোট চাই।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান প্রতীক বরাদ্দের পরপরই গণসংযোগে নামেন। এ সময় তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছি। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। তারা আমাকে ভোট দেয়ায় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আমি ইতোমধ্যে সদর মেট্রো থানা, বাসন থানা, কোনাবাড়ী থানা ও সালনা এলাকায় গণসংযোগ করেছি। আরও কয়েকটি থানা এলাকায় গণসংযোগ করব।

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে গ্রাম থেকে শহরে রূপান্তর করতে চেয়েছিলাম। সেই কাজে হাতও দিয়েছিলাম। আমার মায়ের নির্দেশেই এই ৮০০ কিলোমিটার রাস্তা করেছিলাম। এখন মা যখন দেখেছেন কাজগুলো থেমে গেছে তখন মা আমাকে হুকুম করে বলেছে বাবা আমি কাজগুলো করতে চাই। এজন্য মায়ের কথায় এই শহরকে সুন্দর রাখতে মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা আরচণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনী কাজ শুরু করতে পারবেন। নির্বাচনী আচরণবিধি পালনে মাঠে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে ১৮ জন বিপরীত লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। ৫৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন, সংরক্ষিত ১৯টি নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গাজীপুরে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ভোটের মাঠে প্রার্থীরা

আপডেট সময় : ০৬:১২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামী ২৫ মে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবার (৯ মে) প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন।

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, গণফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র থেকে মোট আটজন প্রার্থী মেয়র পদে লড়ছেন। তবে নির্বাচনের মূল লড়াই সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানের মধ্যে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতীক বরাদ্দের দিন সকালে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র প্রার্থী, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হন। প্রতীক পাওয়ার পরপরই তারা ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান প্রতীক বরাদ্দের পরপরই গাজীপুর সদর এলাকায় গণসংযোগ করেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন প্রতীক বরাদ্দের পরপরই স্বজনদের কবর জিয়ারত করে গণসংযোগে নামেন। অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান প্রতীক বরাদ্দের পরপরই মেট্রো থানা, বাসন থানা ও কোনাবাড়ী থানা এলাকায় গণসংযোগ করেন।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার কিছু সময় পর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান প্রতীক বরাদ্দ নেন। বেলা ১১টার দিকের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে আসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম তার মাকে সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বরাদ্দ নেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারাও আজ প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি, গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম মাছ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা,  স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহানুর ইসলাম রনি হাতি, রাজু আহম্মেদ গোলাপ ফুল ও হারুন অর রশিদ ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, গাজীপুর সিটির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বৃহৎ পরিকল্পনা মোতাবেক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ সিটি করপোরেশন গড়ে তুলতে নৌকা প্রতীকে ভোট চাই। প্রতীক পাওয়ার পরই আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। আমরা ইতোমধ্যে ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করেছি।

প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, আমি লড়াই করছি জনগণের জন্য। আমার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের জনগণ রয়েছে। আমি আমার এবং ভোটের নিরাপত্তা চাই, সুষ্ঠু ভোট চাই। আমি নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটা সুষ্ঠু ভোট চাই।

তিনি বলেন, এই শহরের বড় সমস্যা হলো রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা। আমি জয়লাভ করলে আগে এই রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করব। গাজীপুর সিটির উন্নয়নে সিটি করপোরেশনের ভোটারদের কাছে আমি ঘড়ি মার্কায় ভোট চাই।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান প্রতীক বরাদ্দের পরপরই গণসংযোগে নামেন। এ সময় তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছি। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। তারা আমাকে ভোট দেয়ায় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আমি ইতোমধ্যে সদর মেট্রো থানা, বাসন থানা, কোনাবাড়ী থানা ও সালনা এলাকায় গণসংযোগ করেছি। আরও কয়েকটি থানা এলাকায় গণসংযোগ করব।

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে গ্রাম থেকে শহরে রূপান্তর করতে চেয়েছিলাম। সেই কাজে হাতও দিয়েছিলাম। আমার মায়ের নির্দেশেই এই ৮০০ কিলোমিটার রাস্তা করেছিলাম। এখন মা যখন দেখেছেন কাজগুলো থেমে গেছে তখন মা আমাকে হুকুম করে বলেছে বাবা আমি কাজগুলো করতে চাই। এজন্য মায়ের কথায় এই শহরকে সুন্দর রাখতে মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা আরচণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনী কাজ শুরু করতে পারবেন। নির্বাচনী আচরণবিধি পালনে মাঠে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে ১৮ জন বিপরীত লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। ৫৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন, সংরক্ষিত ১৯টি নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি।