ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জোট-মহাজোট নিয়ে আ.লীগে দুই ‘বিকল্প চিন্তা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩ ৫০৫ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠন, পুরনো দলে ভাঙন দেখা যায়। রাজনীতিতে মেরুকরণের কারণে এই ভাঙাগড়া দেখা দেয় জোট-মহাজোটেও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যখন সরকারবিরোধী বলয় তৈরি ও যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত, তখন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিকল্প দুই চিন্তা নিয়ে এগোচ্ছে। জুন-জুলাইয়ে এই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত রূপ পেতে পারে বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে বিএনপিসহ বিরোধী জোটের ভোটে অংশগ্রহণ করা না করার ওপর।

সূত্রমতে, বিএনপি ও তাদের বলয়ে থাকা দলগুলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে এক রকমের কৌশল, আর ভোট বর্জন করলে অন্যরকম কৌশল নেবে আওয়ামী লীগ। বিরোধীরা নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল সম্প্রসারণ এবং মহাজোট সক্রিয় করার চিন্তা করা হচ্ছে। যদি বিরোধীরা ভোটে না আসে, তাহলে ১৪ দল সম্প্রসারণ কিংবা মহাজোট সক্রিয় করা নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে, অথবা ইসলামি দলগুলো নিয়ে আলাদা জোট হতে পারে, তাতে সবুজ সংকেত দেওয়ার চিন্তা সরকারি দলের।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং দুই জন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সব রাজনৈতিক দলকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। বিএনপি জোট নির্বাচনে এলে একরকম নির্বাচনি হিসাব, না এলে আরেক রকম হিসাব হবে। দুই ধরনের নির্বাচনি কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। জুন-জুলাইয়ের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে—নির্বাচনে কারা অংশ নেবে, আর কারা নেবে না। ফলে তখন নির্বাচনি কৌশলও প্রকাশ্য রূপ লাভ করবে।

তারা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর পাশাপাশি সমমনা দলগুলোর সঙ্গে পর্দার আড়ালে যোগাযোগ রাখছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে যেসব দল বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে আসতে আগ্রহী, সেই দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ১৪ দল বা মহাজোটে যুক্ত হতে চায় কিছু ইসলামি দলসহ বেশ কয়েকটি দল, সেগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তবে ১৪ দলের শরিকরা ইসলামি দলকে জোটে নেওয়ার বিপক্ষে থাকায় আগ্রহী দলগুলোকে নিয়ে আলাদা জোট গঠনের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (৯ মে) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘১৪ দলের কলেবর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমমনা দল, পেশাজীবীদের যুক্ত করা হতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আওয়ামী লীগ নিজস্ব প্রক্রিয়ায় নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যরাও তাদের মতো করে নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক ১০টি দল হচ্ছে— জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও খেলাফত মজলিস। এরমধ্যে তরিকত ফেডারেশন ১৪ দলের শরিক। বাকিদের মধ্যে ১৪ দলে যুক্ত হতে চায় মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ, সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক ফ্রন্ট ও আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন।

১৪ দলের সূত্রমতে, গত ১৩ মার্চ জোটের সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট ও খেলাফত আন্দোলনের নেতারা। তারা ১৪ দলীয় জোটে যুক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা সমন্বয়ককে জানিয়েছেন। একই দিনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকে বিষয়টি তোলেন আমু। এ সময় ১৪ দলের শরিক নেতারা তাদের ‘আদর্শিক’ জোটে ইসলামি দলকে নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান। এমনকি জোটে থাকা একমাত্র ধর্মভিত্তিক দল তরিকত ফেডারেশনও নতুন করে কোনও ইসলামি দলকে জোটে নেওয়ার বিরোধিতা করে।

বিরোধিতার বিষয়টি স্বীকার করে ওই দিন আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ইসলামি অনেক দল জোট করতে চায়। আমরা বলেছি—১৪ দল একটা আদর্শিক জোট। এখানে অন্য কোনও ইসলামি দলকে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা আলাদাভাবে জোট গঠন করলে, তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন বা সরকারের সমর্থন থাকবে। তারা আমাদের কর্মসূচিতে এলো, আমরাও গেলাম বা প্রতিনিধি পাঠালাম।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (৯ মে) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘ইসলামি দলগুলো আলাদাভাবে বা জোট করে নির্বাচনে এলে তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে, সেটি তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ার বিষয়। তবে ১৪ দল আদর্শিক জোট হওয়ায় এর আকার আগামীতে বাড়লেও ইসলামি দলগুলোর যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেখছি না।’

সূত্রমতে, কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও সম্প্রতি নিবন্ধন পাওয়া প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গঠন করা তৃণমূল বিএনপিও ১৪ দলে আসতে আগ্রহী। এরমধ্যে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সপরিবারে সাক্ষাৎ করেন কাদের সিদ্দিকী। আর ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর গঠিত তৃণমূল বিএনপি চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৪ দলীয় জোটে আসতে আগ্রহী দলের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের নামও। তবে এ বিষয়ে দল তিনটির কেউই কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জোট-মহাজোট নিয়ে আ.লীগে দুই ‘বিকল্প চিন্তা’

আপডেট সময় : ০৪:১৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠন, পুরনো দলে ভাঙন দেখা যায়। রাজনীতিতে মেরুকরণের কারণে এই ভাঙাগড়া দেখা দেয় জোট-মহাজোটেও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যখন সরকারবিরোধী বলয় তৈরি ও যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত, তখন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিকল্প দুই চিন্তা নিয়ে এগোচ্ছে। জুন-জুলাইয়ে এই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত রূপ পেতে পারে বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে বিএনপিসহ বিরোধী জোটের ভোটে অংশগ্রহণ করা না করার ওপর।

সূত্রমতে, বিএনপি ও তাদের বলয়ে থাকা দলগুলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে এক রকমের কৌশল, আর ভোট বর্জন করলে অন্যরকম কৌশল নেবে আওয়ামী লীগ। বিরোধীরা নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল সম্প্রসারণ এবং মহাজোট সক্রিয় করার চিন্তা করা হচ্ছে। যদি বিরোধীরা ভোটে না আসে, তাহলে ১৪ দল সম্প্রসারণ কিংবা মহাজোট সক্রিয় করা নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে, অথবা ইসলামি দলগুলো নিয়ে আলাদা জোট হতে পারে, তাতে সবুজ সংকেত দেওয়ার চিন্তা সরকারি দলের।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং দুই জন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সব রাজনৈতিক দলকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। বিএনপি জোট নির্বাচনে এলে একরকম নির্বাচনি হিসাব, না এলে আরেক রকম হিসাব হবে। দুই ধরনের নির্বাচনি কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। জুন-জুলাইয়ের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে—নির্বাচনে কারা অংশ নেবে, আর কারা নেবে না। ফলে তখন নির্বাচনি কৌশলও প্রকাশ্য রূপ লাভ করবে।

তারা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর পাশাপাশি সমমনা দলগুলোর সঙ্গে পর্দার আড়ালে যোগাযোগ রাখছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে যেসব দল বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে আসতে আগ্রহী, সেই দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ১৪ দল বা মহাজোটে যুক্ত হতে চায় কিছু ইসলামি দলসহ বেশ কয়েকটি দল, সেগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তবে ১৪ দলের শরিকরা ইসলামি দলকে জোটে নেওয়ার বিপক্ষে থাকায় আগ্রহী দলগুলোকে নিয়ে আলাদা জোট গঠনের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (৯ মে) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘১৪ দলের কলেবর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমমনা দল, পেশাজীবীদের যুক্ত করা হতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আওয়ামী লীগ নিজস্ব প্রক্রিয়ায় নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যরাও তাদের মতো করে নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক ১০টি দল হচ্ছে— জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও খেলাফত মজলিস। এরমধ্যে তরিকত ফেডারেশন ১৪ দলের শরিক। বাকিদের মধ্যে ১৪ দলে যুক্ত হতে চায় মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ, সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক ফ্রন্ট ও আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন।

১৪ দলের সূত্রমতে, গত ১৩ মার্চ জোটের সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট ও খেলাফত আন্দোলনের নেতারা। তারা ১৪ দলীয় জোটে যুক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা সমন্বয়ককে জানিয়েছেন। একই দিনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকে বিষয়টি তোলেন আমু। এ সময় ১৪ দলের শরিক নেতারা তাদের ‘আদর্শিক’ জোটে ইসলামি দলকে নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান। এমনকি জোটে থাকা একমাত্র ধর্মভিত্তিক দল তরিকত ফেডারেশনও নতুন করে কোনও ইসলামি দলকে জোটে নেওয়ার বিরোধিতা করে।

বিরোধিতার বিষয়টি স্বীকার করে ওই দিন আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ইসলামি অনেক দল জোট করতে চায়। আমরা বলেছি—১৪ দল একটা আদর্শিক জোট। এখানে অন্য কোনও ইসলামি দলকে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা আলাদাভাবে জোট গঠন করলে, তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন বা সরকারের সমর্থন থাকবে। তারা আমাদের কর্মসূচিতে এলো, আমরাও গেলাম বা প্রতিনিধি পাঠালাম।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (৯ মে) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘ইসলামি দলগুলো আলাদাভাবে বা জোট করে নির্বাচনে এলে তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে, সেটি তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ার বিষয়। তবে ১৪ দল আদর্শিক জোট হওয়ায় এর আকার আগামীতে বাড়লেও ইসলামি দলগুলোর যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেখছি না।’

সূত্রমতে, কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও সম্প্রতি নিবন্ধন পাওয়া প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গঠন করা তৃণমূল বিএনপিও ১৪ দলে আসতে আগ্রহী। এরমধ্যে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সপরিবারে সাক্ষাৎ করেন কাদের সিদ্দিকী। আর ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর গঠিত তৃণমূল বিএনপি চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৪ দলীয় জোটে আসতে আগ্রহী দলের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের নামও। তবে এ বিষয়ে দল তিনটির কেউই কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।