ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য বললেন স্পিকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ ২৫১৫ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতিকে অন্যায়, অবিচার ও সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে স্বাধীনতা। সব ধরনের জাতি ও বর্ণগত বৈষম্য দূরীকরণের এজেন্ডা বাংলাদেশ সর্বদা সমর্থন করে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ধর্ম, লিঙ্গ, জন্মস্থান নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের সমতা নিশ্চিত করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে থাকেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিকে উৎসাহিত করে।

সোমবার ১৪৬তম আইপিইউ (ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন) কনফারেন্স উপলক্ষে বাহরাইনের রাজধানী মানামার এক্সিবিশন ওয়ার্ল্ড বাহরাইনের প্লেনারি গ্রান্ড হলে আয়োজিত ‘প্রোমোটিং পিসফুল কো-এক্সিসটেন্স অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সোসাইটিজ: ফাইটিং ইনটোলারেন্স’ শীর্ষক জেনারেল ডিবেটে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আইপিইউ নেতৃত্বের ভূমিকা রেখে চলেছে। সংঘর্ষ ও সহিংসতা পরিহার করে বিশ্বের সব জাতির পরিশুদ্ধির জন্য আইপিইউয়ের এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের সেমিনার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ ও সমস্যা সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক। টেকসই শান্তি ও সম্প্রীতি অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রয়াসের বিকল্প নেই। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য নির্মূলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবতার ঘোষণার বাস্তবায়ন সম্ভব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতি কখনো বৈষম্যের ভিত্তি হতে পারে না।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ লিঙ্গ, শ্রেণি, ধর্ম, ভৌগোলিক সীমানার ঊর্ধ্বে সব জাতির জন্য সমতাভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা নির্দেশ করে। লিঙ্গসমতা নিশ্চিতকরণ ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নির্মাণের পূর্বশর্ত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর সবুজ, শান্তিপূর্ণ বিশ্ব নির্মাণে সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। সংসদীয় কূটনীতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সংসদ সদস্যরা জনসাধারণের জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষার প্রসার ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার।

একটি সহনশীল, সমতাভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক পৃথিবী নির্মাণে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেনারেল ডিবেটে অস্ট্রেলিয়া, মিশর, জাম্বিয়া, মালাউই, ইয়েমেন, জিম্বাবুয়ে, সেনেগাল, আফগানিস্তান, সিয়েরা লিওন, মালদ্বীপ, বতসোয়ানা, নাইজার, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, এস্তোনিয়া, মালি, স্পেন, ইউক্রেন, স্লোভেনিয়া ও অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

জেনারেল ডিবেটে সংসদ সদস্য শাহে আলম, সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংসদ সদস্য রাহগির আলমাহি এরশাদ, সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আব্দুস সালাম, যুগ্মসচিব এমএ কামাল বিল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য বললেন স্পিকার

আপডেট সময় : ০৪:০৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতিকে অন্যায়, অবিচার ও সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে স্বাধীনতা। সব ধরনের জাতি ও বর্ণগত বৈষম্য দূরীকরণের এজেন্ডা বাংলাদেশ সর্বদা সমর্থন করে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ধর্ম, লিঙ্গ, জন্মস্থান নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের সমতা নিশ্চিত করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে থাকেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিকে উৎসাহিত করে।

সোমবার ১৪৬তম আইপিইউ (ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন) কনফারেন্স উপলক্ষে বাহরাইনের রাজধানী মানামার এক্সিবিশন ওয়ার্ল্ড বাহরাইনের প্লেনারি গ্রান্ড হলে আয়োজিত ‘প্রোমোটিং পিসফুল কো-এক্সিসটেন্স অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সোসাইটিজ: ফাইটিং ইনটোলারেন্স’ শীর্ষক জেনারেল ডিবেটে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আইপিইউ নেতৃত্বের ভূমিকা রেখে চলেছে। সংঘর্ষ ও সহিংসতা পরিহার করে বিশ্বের সব জাতির পরিশুদ্ধির জন্য আইপিইউয়ের এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের সেমিনার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ ও সমস্যা সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক। টেকসই শান্তি ও সম্প্রীতি অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রয়াসের বিকল্প নেই। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য নির্মূলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবতার ঘোষণার বাস্তবায়ন সম্ভব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতি কখনো বৈষম্যের ভিত্তি হতে পারে না।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ লিঙ্গ, শ্রেণি, ধর্ম, ভৌগোলিক সীমানার ঊর্ধ্বে সব জাতির জন্য সমতাভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা নির্দেশ করে। লিঙ্গসমতা নিশ্চিতকরণ ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নির্মাণের পূর্বশর্ত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর সবুজ, শান্তিপূর্ণ বিশ্ব নির্মাণে সবাইকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। সংসদীয় কূটনীতি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সংসদ সদস্যরা জনসাধারণের জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষার প্রসার ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার।

একটি সহনশীল, সমতাভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক পৃথিবী নির্মাণে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেনারেল ডিবেটে অস্ট্রেলিয়া, মিশর, জাম্বিয়া, মালাউই, ইয়েমেন, জিম্বাবুয়ে, সেনেগাল, আফগানিস্তান, সিয়েরা লিওন, মালদ্বীপ, বতসোয়ানা, নাইজার, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, এস্তোনিয়া, মালি, স্পেন, ইউক্রেন, স্লোভেনিয়া ও অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

জেনারেল ডিবেটে সংসদ সদস্য শাহে আলম, সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংসদ সদস্য রাহগির আলমাহি এরশাদ, সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আব্দুস সালাম, যুগ্মসচিব এমএ কামাল বিল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।