ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩ ৪৭৭ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে।

রবিবার (৫ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ময়নার ঘোনা ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর একটি টিম, পুলিশ ও অন্য বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এছাড়া স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হয়েছেন।

৮ এবিপিএনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, হঠাৎ করে বালুখালীর ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন দেখা যায়। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্যাম্পের ঘরগুলো পাশাপাশি হওয়ায় আগুন ১১, ১০ ও ৯ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে উখিয়া ও টেকনাফের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। কক্সবাজার স্টেশনকেও খবর দেওয়া হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বিবিসি বাংলাকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফোনে বলেছেন, ‘আমরা এখন ঘটনাস্থলে। সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছি।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বালুখালীতে একটি ক্যাম্পে প্রথমে আগুন লাগলে স্থানীয়রা তা নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বাতাসের কারণে মুহূর্তেই আগুন আরেকটি ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে।

কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৪টা নাগাদ ৬ নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

স্থানীয় আব্দুর রহমান জানান, বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে এবং এ কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে অন্যরা যোগ দেন।

কক্সবাজারের ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানিয়েছেন, তাদের আরও কয়েকটি ইউনিট এখন সেখানে কাজ করতে শুরু করেছে।

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এর আগেও একাধিকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে উখিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যায়। এরপর মার্চ মাসে বালুখালীতেই আগুনে পুড়ে মারা যান ১৫ রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে গিয়েছিল। এরপর আবারও ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ডের শিকার হলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে।

রবিবার (৫ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ময়নার ঘোনা ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর একটি টিম, পুলিশ ও অন্য বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এছাড়া স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হয়েছেন।

৮ এবিপিএনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, হঠাৎ করে বালুখালীর ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন দেখা যায়। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্যাম্পের ঘরগুলো পাশাপাশি হওয়ায় আগুন ১১, ১০ ও ৯ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে উখিয়া ও টেকনাফের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। কক্সবাজার স্টেশনকেও খবর দেওয়া হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বিবিসি বাংলাকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফোনে বলেছেন, ‘আমরা এখন ঘটনাস্থলে। সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছি।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বালুখালীতে একটি ক্যাম্পে প্রথমে আগুন লাগলে স্থানীয়রা তা নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বাতাসের কারণে মুহূর্তেই আগুন আরেকটি ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে।

কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৪টা নাগাদ ৬ নম্বর ক্যাম্পেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

স্থানীয় আব্দুর রহমান জানান, বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে এবং এ কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে অন্যরা যোগ দেন।

কক্সবাজারের ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানিয়েছেন, তাদের আরও কয়েকটি ইউনিট এখন সেখানে কাজ করতে শুরু করেছে।

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এর আগেও একাধিকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে উখিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যায়। এরপর মার্চ মাসে বালুখালীতেই আগুনে পুড়ে মারা যান ১৫ রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে গিয়েছিল। এরপর আবারও ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ডের শিকার হলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প।