ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ স্থূল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
এখনই কোনো পদক্ষেপ না নিলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ স্থূল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশনের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৪০০ কোটির বেশি মানুষ অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগবে। শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই ঝুঁকি অনেক বেশি। অতিরিক্ত ওজনের কারণে আর্থিক ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে সেখানে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বে স্থূলতার কারণে প্রতিবছর ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অতিরিক্ত খরচ হবে।
ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক লুইস বাওর বলেন, প্রতিবেদনের এই ফলাফল দেশগুলোর জন্য এক সতর্কবার্তা দিচ্ছে, ভবিষ্যতের এই পরিস্থিতি এড়াতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিবেদনে বিশেষ করে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে দ্রুত স্থূল হওয়ার প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০৩৫ সালে স্থূল ছেলেমেয়ের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
প্রবণতাটিকে ‘বিশেষভাবে উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে অধ্যাপক বাউর বলেন, স্থূলতার জন্য দায়ী মূল কারণগুলো মূল্যায়ন করে তরুণ প্রজন্মের জন্য স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যে ব্যয় হয়, সরকার ও নীতিনির্ধারকদের তা করতে হবে। প্রতিবেদনে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতার ব্যাপকতার প্রভাবও বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী যে ১০টি দেশে সবচেয়ে বেশি স্থূলতা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে ৯টি আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। নিম্ন আয়ের দেশগুলো ‘স্থূলতা ও এর প্রভাব মোকাবিলায় তেমন কিছু করতে পারে না’ বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
স্থূলতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে রয়েছ-প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত শুয়ে-বসে সময় কাটানো, খাদ্য সরবরাহ ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি এবং ওজন ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার অনুন্নত ব্যবস্থা।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য থেকে ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন ধারণা করছে, বিশ্বজুড়ে স্থূলতার হার বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে, যা বৈশি^^ক দেশজ মোট উৎপাদনের ৩ শতাংশের সমান হবে। তবে স্থূলতার অর্থনৈতিক প্রভাবের জন্য ‘কোনোভাবেই স্থূল মানুষকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। কারও শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে বয়স অনুপাতে ওজন বেশি হয়ে গেলে তাকে স্থূলকায় বলা যায়। বৈজ্ঞানিকভাবে শরীরের ওজন ও উচ্চতার একটা আনুপাতিক হিসাব করে স্থূলতা নির্ণয় করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ স্থূল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে

আপডেট সময় : ০৪:৪৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
এখনই কোনো পদক্ষেপ না নিলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ স্থূল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশনের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৪০০ কোটির বেশি মানুষ অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগবে। শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই ঝুঁকি অনেক বেশি। অতিরিক্ত ওজনের কারণে আর্থিক ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে সেখানে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বে স্থূলতার কারণে প্রতিবছর ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অতিরিক্ত খরচ হবে।
ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক লুইস বাওর বলেন, প্রতিবেদনের এই ফলাফল দেশগুলোর জন্য এক সতর্কবার্তা দিচ্ছে, ভবিষ্যতের এই পরিস্থিতি এড়াতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিবেদনে বিশেষ করে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে দ্রুত স্থূল হওয়ার প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০৩৫ সালে স্থূল ছেলেমেয়ের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
প্রবণতাটিকে ‘বিশেষভাবে উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে অধ্যাপক বাউর বলেন, স্থূলতার জন্য দায়ী মূল কারণগুলো মূল্যায়ন করে তরুণ প্রজন্মের জন্য স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যে ব্যয় হয়, সরকার ও নীতিনির্ধারকদের তা করতে হবে। প্রতিবেদনে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতার ব্যাপকতার প্রভাবও বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী যে ১০টি দেশে সবচেয়ে বেশি স্থূলতা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে ৯টি আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। নিম্ন আয়ের দেশগুলো ‘স্থূলতা ও এর প্রভাব মোকাবিলায় তেমন কিছু করতে পারে না’ বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
স্থূলতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে রয়েছ-প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত শুয়ে-বসে সময় কাটানো, খাদ্য সরবরাহ ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি এবং ওজন ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার অনুন্নত ব্যবস্থা।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য থেকে ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন ধারণা করছে, বিশ্বজুড়ে স্থূলতার হার বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে, যা বৈশি^^ক দেশজ মোট উৎপাদনের ৩ শতাংশের সমান হবে। তবে স্থূলতার অর্থনৈতিক প্রভাবের জন্য ‘কোনোভাবেই স্থূল মানুষকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। কারও শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে বয়স অনুপাতে ওজন বেশি হয়ে গেলে তাকে স্থূলকায় বলা যায়। বৈজ্ঞানিকভাবে শরীরের ওজন ও উচ্চতার একটা আনুপাতিক হিসাব করে স্থূলতা নির্ণয় করা হয়।