ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মগজখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একজনের মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
বিরল মগজখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। খবর সিএনএনের। নিহত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। দক্ষিণপশ্চিম ফ্লোরিডার শার্লট কাউন্টির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যিনি মারা গেছেন তিনি সম্ভবত ট্যাপের পানি দিয়ে নাক ধুয়েছিলেন, আর সে পথেই নেগলেরিয়া ফাওলেরি মস্তিষ্কে চলে গিয়েছিল।
এই মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা সাধারণত নাক দিয়ে ঢুকে মস্তিষ্কে আক্রমণ করে তবে এই অ্যামিবা যে পানিতে থাকে তা পান করলে কোনো সমস্যা হয় না, বলছেন কর্মকর্তারা। মস্তিষ্কে সংক্রমণের পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যান বলে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
এই মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা সাধারণত সুইমিং পুল,  হ্রদ বা পুকুরের খানিকটা উষ্ণ পানিতে থাকে। নাক দিয়ে মস্তিষ্কে গেলে এই অ্যামিবা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে কিন্তু পাকস্থলীর এসিড এককোষী অনুজীবকে মেরে ফেলায় সেখানে এটি বিপজ্জনক হতে পারে না। আক্রান্ত ব্যক্তি যে রোগে আক্রান্ত হয়, তাকে সাধারণত অ্যামেবিক মেনিনজেনসেফালিটিস বলা হয়। এর উপসর্গের মধ্যে আছে মাথাব্যাথা, জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, ভারসাম্য হারানো, খিঁচুনি ও হ্যালুসিনেশন। সিডিসির হিসাবে, প্রতি বছর তিনজনের মতো মার্কিনি এই রোগে আক্রান্ত হয় যাদের বেশিরভাগকেই বাঁচানো যায় না।
১৯৬২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আক্রান্ত ১৫৪ জনের মধ্যে কেবল ৪ জন বাঁচতে পেরেছে। তবে শীতকালে সাধারণত এই অ্যামিবার সংক্রমণ দেখা যায় না, বলছে সিডিসির তথ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মগজখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একজনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৪:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
বিরল মগজখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। খবর সিএনএনের। নিহত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। দক্ষিণপশ্চিম ফ্লোরিডার শার্লট কাউন্টির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যিনি মারা গেছেন তিনি সম্ভবত ট্যাপের পানি দিয়ে নাক ধুয়েছিলেন, আর সে পথেই নেগলেরিয়া ফাওলেরি মস্তিষ্কে চলে গিয়েছিল।
এই মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা সাধারণত নাক দিয়ে ঢুকে মস্তিষ্কে আক্রমণ করে তবে এই অ্যামিবা যে পানিতে থাকে তা পান করলে কোনো সমস্যা হয় না, বলছেন কর্মকর্তারা। মস্তিষ্কে সংক্রমণের পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যান বলে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
এই মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা সাধারণত সুইমিং পুল,  হ্রদ বা পুকুরের খানিকটা উষ্ণ পানিতে থাকে। নাক দিয়ে মস্তিষ্কে গেলে এই অ্যামিবা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে কিন্তু পাকস্থলীর এসিড এককোষী অনুজীবকে মেরে ফেলায় সেখানে এটি বিপজ্জনক হতে পারে না। আক্রান্ত ব্যক্তি যে রোগে আক্রান্ত হয়, তাকে সাধারণত অ্যামেবিক মেনিনজেনসেফালিটিস বলা হয়। এর উপসর্গের মধ্যে আছে মাথাব্যাথা, জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, ভারসাম্য হারানো, খিঁচুনি ও হ্যালুসিনেশন। সিডিসির হিসাবে, প্রতি বছর তিনজনের মতো মার্কিনি এই রোগে আক্রান্ত হয় যাদের বেশিরভাগকেই বাঁচানো যায় না।
১৯৬২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আক্রান্ত ১৫৪ জনের মধ্যে কেবল ৪ জন বাঁচতে পেরেছে। তবে শীতকালে সাধারণত এই অ্যামিবার সংক্রমণ দেখা যায় না, বলছে সিডিসির তথ্য।