ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘খুব সম্ভবত’ চীনা গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে কভিড-১৯

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩ ১১৩ বার পড়া হয়েছে

খুব সম্ভবত চীনা সরকার-নিয়ন্ত্রিত একটি গবেষণাগার থেকে কভিড-১৯ ছড়িয়েছে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এ মন্তব্য করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) প্রধান ক্রিস্টোফার ওয়ে। খবর বিবিসি।তিনি বলেন, এফবিআই বেশ কিছুদিন ধরে মহামারীর উৎস নিয়ে মূল্যায়ন করেছে। এটি খুব সম্ভবত একটি গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে।মহামারী ভাইরাস সম্পর্কে এটিই প্রথমবার প্রকাশ্যে এফবিআইয়ের মন্তব্য।চীন অবশ্য উহানের ল্যাব থেকে ভাইরাস ফাঁস হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছে। উল্টো অভিযোগটিকে ‘মানহানিকর’ বলে অভিহিত করেছে।এর আগে চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত দেশটিকে কোভিডের উত্স সম্পর্কে অনুসন্ধানে ‘আরো আন্তরিক’ হওয়ার আহ্বান জানান। তার একদিন পর এল এফবিআই প্রধানের মন্তব্য।গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাত্কারে ওয়ে বলেন, মহামারীর উত্স শনাক্ত করার প্রচেষ্টাকে ‘ব্যাহত ও বিভ্রান্ত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে’ চীন। যা সবার জন্য দুর্ভাগ্যজনক।কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভাইরাসটি উহান শহরের সামুদ্রিক খাবার ও বন্যপ্রাণীর বাজারে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ বাজার থেকে চীনের অন্যতম ভাইরাস গবেষণাগার উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারের। এখানে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছে চীন।অবশ্য অন্যান্য মার্কিন সরকারি সংস্থা সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এফবিআইয়ের মতো আত্মবিশ্বাসী নয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একই ধরনের মূল্যায়ন জানায় ইউএস এনার্জি ডিপার্টমেন্ট। তবে তারা বিষয়টি নিয়ে এফবিআই থেকে ‘কম আত্মবিশ্বাসী’। সংস্থাটি আগে বলেছিল, ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে তারা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।এর পরদিন হোয়াইট হাউজ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, কভিডের উৎস অনুসন্ধানের সরকারি প্রচেষ্টাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেন।তবে এও যোগ করেন, কী ঘটেছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ঐক্যমতের অভাব রয়েছে।২০২১ সালের অক্টোবরে প্রথমবার মার্কিন শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তার একটি প্রতিবেদনে চীনা গবেষণাগারের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসে।এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্ত দল গবেষণাগার থেকে ছড়ানোর তত্ত্বের সমালোচনা করে নতুন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।২০১৯ সালের শেষ দিকে কভিডের প্রাদুর্ভাব ঘটে। পরের বছরের শুরুতে সারা বিশ্বে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘খুব সম্ভবত’ চীনা গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছে কভিড-১৯

আপডেট সময় : ০৩:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

খুব সম্ভবত চীনা সরকার-নিয়ন্ত্রিত একটি গবেষণাগার থেকে কভিড-১৯ ছড়িয়েছে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এ মন্তব্য করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) প্রধান ক্রিস্টোফার ওয়ে। খবর বিবিসি।তিনি বলেন, এফবিআই বেশ কিছুদিন ধরে মহামারীর উৎস নিয়ে মূল্যায়ন করেছে। এটি খুব সম্ভবত একটি গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে।মহামারী ভাইরাস সম্পর্কে এটিই প্রথমবার প্রকাশ্যে এফবিআইয়ের মন্তব্য।চীন অবশ্য উহানের ল্যাব থেকে ভাইরাস ফাঁস হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছে। উল্টো অভিযোগটিকে ‘মানহানিকর’ বলে অভিহিত করেছে।এর আগে চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত দেশটিকে কোভিডের উত্স সম্পর্কে অনুসন্ধানে ‘আরো আন্তরিক’ হওয়ার আহ্বান জানান। তার একদিন পর এল এফবিআই প্রধানের মন্তব্য।গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাত্কারে ওয়ে বলেন, মহামারীর উত্স শনাক্ত করার প্রচেষ্টাকে ‘ব্যাহত ও বিভ্রান্ত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে’ চীন। যা সবার জন্য দুর্ভাগ্যজনক।কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভাইরাসটি উহান শহরের সামুদ্রিক খাবার ও বন্যপ্রাণীর বাজারে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ বাজার থেকে চীনের অন্যতম ভাইরাস গবেষণাগার উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারের। এখানে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছে চীন।অবশ্য অন্যান্য মার্কিন সরকারি সংস্থা সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এফবিআইয়ের মতো আত্মবিশ্বাসী নয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একই ধরনের মূল্যায়ন জানায় ইউএস এনার্জি ডিপার্টমেন্ট। তবে তারা বিষয়টি নিয়ে এফবিআই থেকে ‘কম আত্মবিশ্বাসী’। সংস্থাটি আগে বলেছিল, ভাইরাসের উৎস সম্পর্কে তারা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।এর পরদিন হোয়াইট হাউজ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, কভিডের উৎস অনুসন্ধানের সরকারি প্রচেষ্টাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেন।তবে এও যোগ করেন, কী ঘটেছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ঐক্যমতের অভাব রয়েছে।২০২১ সালের অক্টোবরে প্রথমবার মার্কিন শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তার একটি প্রতিবেদনে চীনা গবেষণাগারের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসে।এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্ত দল গবেষণাগার থেকে ছড়ানোর তত্ত্বের সমালোচনা করে নতুন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।২০১৯ সালের শেষ দিকে কভিডের প্রাদুর্ভাব ঘটে। পরের বছরের শুরুতে সারা বিশ্বে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।