ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩ ২৬ বার পড়া হয়েছে

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারায় আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ । শেষ ওয়ানডেটি ছিল  হোয়াইটওয়াশ লজ্জা এড়ানোর। এমন  ম্যাচে দাপুটে খেলেই জিতেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানদের ৭ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। আফগানিস্তান সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। ব্যাটারদের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১২৭ রানের। যদিও এবারও ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ২৮ রানে দুই উইকেট হারালেও লিটন এবং  সাকিবের ব্যাটে চড়ে জয়ের পথে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে ৬১ রানের জুটি গড়েন। তবে ১৮তম ওভারে সাকিবের বিদায়ে সেই জুটি ভেঙে যায়। শর্ট লেংথে নবির বলে ব্যাট চালালেও টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড অন থেকে পেছনে ছোটা আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির হাতে ধরা পড়েন সাকিব। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৯ বলে পাঁচ বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

পাঁচে নামা তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে অবশ্য অনায়াসেই বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান লিটন। ২২তম ওভারে মুজিব উর রহমানকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন। পরের ওভারের তৃতীয় বলে আরেকটি চার মেরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন তিনি। ৬০ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রান করেন লিটন। অন্যদিকে, ১৯ বলে এক চারে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে বল করতে নামে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে দলে ঢুকে দুর্দান্ত বোলিং শুরু করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তাকে সঙ্গ দেন তাসকিন আহমেদ। তাদের তোপে ৮.২ ওভারে মাত্র ১৫ রান তুলে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

পরবর্তীতে একে একে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান (১), তিনে নামা রহমত শাহ (০), আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৬) ও পাঁচে নামা মোহাম্মদ নবী (১)। এর মধ্যে তিন উইকেট তুলে নেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল। অন্য উইকেটটি দখল করেন পেসার তাসকিন।

তবে ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি আফগানিস্তান। অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহেদি চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ২২ রান করতেই তাকে বোল্ড করে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফেরান সাকিব। মিডিয়াম পেসার আব্দুর রেহমানকে তুলে নেন শরিফুল ইসলাম।

এর মাঝে সাতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের মিডিয়াম পেসার আজমতুল্লাহ ওমরজাই ফিফটি তুলে নেন। তিনি খেলেন ৭১ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৫৬ রানের ইনিংস। পেসার শরিফুল ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন। তাসকিন ও তাইজুল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারায় আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশ । শেষ ওয়ানডেটি ছিল  হোয়াইটওয়াশ লজ্জা এড়ানোর। এমন  ম্যাচে দাপুটে খেলেই জিতেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানদের ৭ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। আফগানিস্তান সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। ব্যাটারদের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১২৭ রানের। যদিও এবারও ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ২৮ রানে দুই উইকেট হারালেও লিটন এবং  সাকিবের ব্যাটে চড়ে জয়ের পথে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে ৬১ রানের জুটি গড়েন। তবে ১৮তম ওভারে সাকিবের বিদায়ে সেই জুটি ভেঙে যায়। শর্ট লেংথে নবির বলে ব্যাট চালালেও টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড অন থেকে পেছনে ছোটা আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির হাতে ধরা পড়েন সাকিব। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৯ বলে পাঁচ বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

পাঁচে নামা তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে অবশ্য অনায়াসেই বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান লিটন। ২২তম ওভারে মুজিব উর রহমানকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন। পরের ওভারের তৃতীয় বলে আরেকটি চার মেরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন তিনি। ৬০ বলে তিনটি বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রান করেন লিটন। অন্যদিকে, ১৯ বলে এক চারে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে বল করতে নামে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে দলে ঢুকে দুর্দান্ত বোলিং শুরু করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তাকে সঙ্গ দেন তাসকিন আহমেদ। তাদের তোপে ৮.২ ওভারে মাত্র ১৫ রান তুলে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

পরবর্তীতে একে একে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান (১), তিনে নামা রহমত শাহ (০), আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা রহমানুল্লাহ গুরবাজ (৬) ও পাঁচে নামা মোহাম্মদ নবী (১)। এর মধ্যে তিন উইকেট তুলে নেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল। অন্য উইকেটটি দখল করেন পেসার তাসকিন।

তবে ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি আফগানিস্তান। অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহেদি চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ২২ রান করতেই তাকে বোল্ড করে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরানকে ফেরান সাকিব। মিডিয়াম পেসার আব্দুর রেহমানকে তুলে নেন শরিফুল ইসলাম।

এর মাঝে সাতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের মিডিয়াম পেসার আজমতুল্লাহ ওমরজাই ফিফটি তুলে নেন। তিনি খেলেন ৭১ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৫৬ রানের ইনিংস। পেসার শরিফুল ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন। তাসকিন ও তাইজুল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।