ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইট বোর্ড এর অজানা কিছু তথ্য
- আপডেট সময় : ০১:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩ ২৩ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহৃত হয়। যা সবকিছুকে করেছে সহজ ও সুবিধাজনক। শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কর্মসূচি আরো সহজ ও সুবিধাজনক হয়েছে।
ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড:
ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড হচ্ছে সাধারন ব্ল্যাকবোর্ড বা হোয়াইট বোর্ডের উন্নত রূপ। এটি মূলত টাচ স্ক্রিন প্যাডের মতো যা অন্যান্য ডিভাইস যেমন– কম্পিউটার ও মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড ১৯৯০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার PRAC তৈরি করেছিলো তাদের অফিসে ব্যবহারের জন্য। পরবর্তীতে তা ক্লাসরুমেও ব্যবহার শুরু হয়। এছাড়াও ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড কর্পোরেট মিটিং রুম, ট্রেনিং রুম ও ব্রডকাস্টিং স্টুডিওতে ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড সাধারণ ব্ল্যাকবোর্ডের জায়গা দখল করে নিয়েছে।
ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড যেভাবে কাজ করে:
ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডের সাথে ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপন করে একে ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার চালু হওয়ার সাথে সাথেই ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডটি সচল হয়। এতে প্রজেক্টর কানেক্ট করিয়ে কম্পিউটারে প্রদর্শিত চিত্র প্রজেক্ট করা হয়।
ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডে ব্যবহারকারী টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করে ডকুমেন্ট ফাইল, এক্সেল স্প্রেডশিট, পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড বা স্মার্ট নোটবুকের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে লিখতে পারে।
এভাবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল উপায়ে এই ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডটি কাজ করে।
ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডের সুবিধা:
ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড ব্যবহার করে যেকোনো বিষয় সহজেই উপস্থাপন করা সম্ভব হয়। এর বিভিন্ন ধরনের সুবিধা থাকার কারণে এটি প্রায় সর্বত্রই ব্যবহার করা হচ্ছে।
- ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড ব্যবহার করে ক্লাসের বিষয়গুলিকে আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করা যায়।
- এর মাধ্যমে ক্লাসের শিক্ষকরা তাদের নোট ও লেকচার রেকর্ড করতে পারে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক ইন্টারেকটিভ হোয়াইটবোর্ডে সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেকচার এবং ক্লাস এক্টিভিটি সেভ করে তা প্রিন্ট করে নেয়ার সুবিধা থাকে।
- ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডের মাধ্যমে প্রায় সকল ধরণের ফাইল এবং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায়।
এর মাধ্যমে ফাইল শেয়ার, অনলাইন রিসোর্স অ্যাক্সেস এবং শিক্ষামূলক সফ্টওয়্যার ব্যবহারের সক্ষমতা রয়েছে।
- ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট রিসোর্স ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা যায়।
- এর মধ্যে কম্পিউটার এপ্লিকেশন ব্যবহার করে ইন্টারনেট সার্ফিং, ভিডিও, উপস্থাপনা প্রদর্শন ইত্যাদি সহজেই ব্যবহার করা যায়।
- এতে দূরবর্তী প্রশিক্ষণ বা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষক ও অফিস কর্মীদের জন্য লাইভ স্ট্রিমিং করা সুবিধা রয়েছে।
- 4k ভিডিও কোয়ালিটি সম্পন্ন ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড ভিডিওকে অনেক বাস্তবিক রূপ প্রদান করে থাকে।
এভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে।
ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ডের দাম:
বাংলাদেশে ভালো মানের ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড এর দাম ৫০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
পরিশেষে বলা যায়,
ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড হচ্ছে ক্লাসরুম ও অফিসের জন্য একটি সাশ্রয়ী উপকরণ। এর মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি ডিভাইস ব্যবহার করেই সব ধরনের কাজ কভার করা যায়।