ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রপ্তানির আড়ালে জাল নথি তৈরি করে চার প্রতিষ্ঠানের ৩৮০ কোটি টাকা পাচার 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ ৮৪১৯ বার পড়া হয়েছে
রপ্তানির আড়ালে জাল নথি তৈরি করে চার প্রতিষ্ঠানের ৩৮০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ১৭৮০টি চালানের বিপরীতে এসব টাকা পাচার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এসব তথ্য দেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ফখরুল আলম।শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ৩৮০ কোটির মতো টাকা পাচার হয়েছে। যদিও আমি ৩৮০ কোটি টাকার ফিগার বললাম এটা প্রত্যেক আমদানিকারক তার বিল অব এক্সপোর্টে যে মূল্য ঘোষণা করেছেন সেই মূল্যের ভিত্তিতে। এখানেও অনুসন্ধানের বিষয় আছে। কারণ তখন যদি কোনো জালিয়াত চক্র বিদেশে অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে এই ধরনের অপকর্ম করেন বা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানির চেষ্টা করেন, সেখানে যদি তাদের মূল উদ্দেশ্যেই থাকে রপ্তানি মূল্য তারা দেশে আনবেন না বিদেশে পাচার করবেন সেক্ষেত্রে তাদের পণ্যমূল্য কম দেখানোর প্রচেষ্টা থাকবে।

কারণ তার তো লক্ষ্য টাকাটা বাইরে পাচার করা। তারা বাইরে পণ্য রপ্তানি করলেও আলটিমেটলি টাকাটা আর দেশে আসবে না। সুতরাং পাচার যখন তার প্রধান লক্ষ্য তখন কিন্তু তারা একটি কাজ করবে সেটা হলো পণ্যের মূল্য তারা যথাযথভাবে দেখাবে না।

ফখরুল আলম বলেন, চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন ১২৩ কাকরাইল রমনা, ঢাকা এই ঠিকানার একটি প্রতিষ্ঠান ১৩৮২টি রপ্তানি পণ্য চালান রপ্তানি করেছে। সেখানে টি-শার্ট, টপস, লেডিস পণ্য ছিল। স্বাভাবিকভাবে বললে যা রেডিমেড গার্মেন্টস। এসব চালানে পণ্যের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮৫ মেট্রিকটন। এর পরিমাণ ২৮২ কোটি টাকা। পণ্যগুলো আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার, যুক্তরাজ্য রপ্তানি হয়েছে।

এছাড়া দক্ষিণখানের জব্বার মার্কেটের ইমো ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২৭৩টি চালান বিদেশে রপ্তানি করেছে। পণ্যের ন্যাচার একই। পরিমাণ ২৫২৩ মেট্রিকটন। টাকা পাচারের পরিমাণ ৬২ কোটি টাকা।

উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের নিগার প্লাজার ইলহান নামে একটি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি পণ্যের চালানোর সংখ্যা ছিল ৩৯টি। মোট পণ্যের পরিমাণ ৬৬০ মেট্রিকটন। টাকার পরিমাণ ১৭ কোটি টাকা। এছাড়া সাবিহা নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৮৭টি চালানে ২১ কোটি টাকার ১১১৭ মেট্রিকটন পণ্য রপ্তানি করেছে করেছে বলে জানান ফখরুল আলম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রপ্তানির আড়ালে জাল নথি তৈরি করে চার প্রতিষ্ঠানের ৩৮০ কোটি টাকা পাচার 

আপডেট সময় : ০৪:২৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
রপ্তানির আড়ালে জাল নথি তৈরি করে চার প্রতিষ্ঠানের ৩৮০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ১৭৮০টি চালানের বিপরীতে এসব টাকা পাচার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এসব তথ্য দেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ফখরুল আলম।শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ৩৮০ কোটির মতো টাকা পাচার হয়েছে। যদিও আমি ৩৮০ কোটি টাকার ফিগার বললাম এটা প্রত্যেক আমদানিকারক তার বিল অব এক্সপোর্টে যে মূল্য ঘোষণা করেছেন সেই মূল্যের ভিত্তিতে। এখানেও অনুসন্ধানের বিষয় আছে। কারণ তখন যদি কোনো জালিয়াত চক্র বিদেশে অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে এই ধরনের অপকর্ম করেন বা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানির চেষ্টা করেন, সেখানে যদি তাদের মূল উদ্দেশ্যেই থাকে রপ্তানি মূল্য তারা দেশে আনবেন না বিদেশে পাচার করবেন সেক্ষেত্রে তাদের পণ্যমূল্য কম দেখানোর প্রচেষ্টা থাকবে।

কারণ তার তো লক্ষ্য টাকাটা বাইরে পাচার করা। তারা বাইরে পণ্য রপ্তানি করলেও আলটিমেটলি টাকাটা আর দেশে আসবে না। সুতরাং পাচার যখন তার প্রধান লক্ষ্য তখন কিন্তু তারা একটি কাজ করবে সেটা হলো পণ্যের মূল্য তারা যথাযথভাবে দেখাবে না।

ফখরুল আলম বলেন, চার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এশিয়া ট্রেডিং করপোরেশন ১২৩ কাকরাইল রমনা, ঢাকা এই ঠিকানার একটি প্রতিষ্ঠান ১৩৮২টি রপ্তানি পণ্য চালান রপ্তানি করেছে। সেখানে টি-শার্ট, টপস, লেডিস পণ্য ছিল। স্বাভাবিকভাবে বললে যা রেডিমেড গার্মেন্টস। এসব চালানে পণ্যের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৮৫ মেট্রিকটন। এর পরিমাণ ২৮২ কোটি টাকা। পণ্যগুলো আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার, যুক্তরাজ্য রপ্তানি হয়েছে।

এছাড়া দক্ষিণখানের জব্বার মার্কেটের ইমো ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২৭৩টি চালান বিদেশে রপ্তানি করেছে। পণ্যের ন্যাচার একই। পরিমাণ ২৫২৩ মেট্রিকটন। টাকা পাচারের পরিমাণ ৬২ কোটি টাকা।

উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের নিগার প্লাজার ইলহান নামে একটি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি পণ্যের চালানোর সংখ্যা ছিল ৩৯টি। মোট পণ্যের পরিমাণ ৬৬০ মেট্রিকটন। টাকার পরিমাণ ১৭ কোটি টাকা। এছাড়া সাবিহা নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৮৭টি চালানে ২১ কোটি টাকার ১১১৭ মেট্রিকটন পণ্য রপ্তানি করেছে করেছে বলে জানান ফখরুল আলম।