ভূমি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম কমলের সম্পদের পাহাড়।
- আপডেট সময় : ১০:১৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩ ৩৮৪৭ বার পড়া হয়েছে
ভূমি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম কমলের সম্পদের পাহাড়।
নারায়ণগঞ্জে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের পাহাড়সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারী ওই কর্মচারী বর্তমানে নারায়গঞ্জের ফতুল্লা থানার পঞ্চবটি এনায়েত নগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও তিনি এখনও বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন।জানা গেছে,কামরুল ইসলাম (কমল) ১৯৮৫ সালে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসাবে চাকুরিতে যোগদান করেন। তখন তার সর্বসাকুল্যে বেতন ছিল দুই থেকে আড়াইহাজার টাকা।তিনি চাকরি কালিন সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত ছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চর গোয়ালদি গ্রামে।বাবা সাহাব উদ্দিন, ছিলেন টেইলার্স মাস্টার, ছিল টেইলার্সের দোকান। আরেক ভাই মোক্তার হোসেন, তিনিও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ শহরে কর্মরত আছেন, তাকেও চাকরি দিয়েছেন বড় ভাই কামরুল ইসলাম কমল। নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, চিটাগাংরোড ভূমি পল্লীতে ১০ শতাংশ জমির ওপর ৬ তলা আলিশান ভবন,যার জমি ও ভবন সহ তৈরি করতে প্রায় ৮ কোটি টাকার দরকার। ভূমি পল্লীর ৭ নং রোডের মেইন গেটের দক্ষিণ পাশে গেইটের সাথে চিটাগাংরোড টু নারায়ণগঞ্জ প্রধান সড়কের পাশে ১০ শতাংশের প্লট।যার মূল্য প্রায় ৩ থেকে তিন- চার কোটি টাকা।
গ্রামের বাড়িতে গরেছেন দুই তলা ডুপ্লেক্স ভবন।জানাযায় ভূমি পল্লীতে আরো দুই টি প্লাট রয়েছে স্ত্রী সন্তানের নামে-বেনামে করেছে সম্পত্তি ও কোটি কোটি টাকার এফডিআর। তার গ্রাম এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাযায় টেইলার্সের দোকান দারি করতেন বাবা সাহাব উদ্দিন,কিছু জমি আছে দাদার আমলের, সে গুলো সেই ভাবে আছে। ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় তহশীলদার কামরুল ইসলাম কমল । ভাই বোনদের লেখা পরা করানো সংসার চালানোর আর্থিক জোগান দিতেই হিমশিম খেতে হতো তার বাবাকে।
আর্থিক অনটনের মধ্যেই পরিবারের হাল ধরেন তিনি। চাকুরীতে যোগদানের ১ বছরের মধ্যেই অবৈধ ভাবে গড়া অর্থের ঝনঝনানি শুরু হয়। কোন রক পরিবারের থেকে উঠে আসা কমল গড়ে তোলেন কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে সুরম্য প্রাসাদ, মেজো ভাই কে ভূমি অফিসে চাকরি, ছোট ভাই কে স্কুলে চাকরি নামে বেনামে একাধিক বাড়ি।
এরমধ্যে অভিযোগ উঠে নানা ধরনের অনিয়মের, ভূমি উন্নয়ন কর, দাখিলা, মিউটিশন, কলম দিয়ে লিখে জাল পর্চা ও তদন্তদের নাম করে সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে নিচ্ছেন মোটা অংকের উৎকোচ।
চাকুরীর ১ বছরের মধ্যেই বাবার খুরকুটার ঘর ভেঙে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরী করেন
বাবার পৈত্রিক সম্পত্তিতে দুই তলা ভবন।
এবিষয়ে জানতে কামরুল ইসলাম কমলের মুঠো ফোনে কথা হলে এই প্রতিপাদকে তিনি তার অফিসে চায়ের দাওয়াত দেন ও বলেন গ্রামের বাড়িতে জমি বিক্রি করে বাড়ি সম্পদ করেছেন। তার গ্রামের এলাকার লোকজন জানান কমলের গ্রামের বাড়ির সব জমি বিক্রি করে তার একটি প্লটের টাকা হবে না।এক প্রশ্নের জবাবে তাকে বলা হয় আপনার স্ত্রীর নামে বাংকে ৫ কোটি টাকার এফডিআর করেছেন, জবাবে তিনি বলেন আরো বেশি আছে।